পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোট নিয়ে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামতে চলেছে বিজেপি। বুথ স্তরে এখন থেকেই সংগঠন বাড়ানোয় জোর দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি বুধবার তমলুকে দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তমলুক লোকসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই ৫০ হাজার লিড দেওয়ার দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
বছর ঘুরলেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। তবে তার আগে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার তমলুকের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে দলের তরফে আয়োজিত এক বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখন থেকেই নিজের বাড়ি পাড়াকে শক্তপোক্ত জমির ওপর দাঁড় করাতে হবে, যাতে ২০২৪ সালে ৪০০ আসন পার করা যায়। পাশাপাশি শুভেন্দুর ঘোষণা, তমলুক ও কাঁথি এই দুই জেলার লোকসভা ভাল জায়গায় রয়েছে। তিনি এও দাবি করেন, নন্দীগ্রাম থেকেই তিনি ৫০ হাজার লিড দেবেন।
প্রসঙ্গত, তমলুক লোকসভার মধ্যেই পড়ছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। আর নন্দীগ্রাম থেকেই জিতে তিনি এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নিজের জেতার মার্জিন মনে করিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ১৯৫৬ নয়, নন্দীগ্রাম থেকে ৫০ হাজার লিড দেব।
পালটা জবাব দিতে দেরি করেনি শাসকশিবিরও। তমলুক সাংগঠনিক জেলা টিএমসি সভাপতি তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রর বক্তব্য, স্বপ্ন দেখা ভাল। তবে, অলিক স্বপ্ন দেখা ঠিক নয়। ওঁকে এই আত্মতুষ্টি নিয়ে থাকতে দিন।
শুভেন্দুর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি-তদন্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীও আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রয়োজনে নবান্নে (Nabanna) গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন ; মুখ্যমন্ত্রী আইনের ঊর্ধ্বে নন, নবান্নে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, মন্তব্য শুভেন্দুর
]